টি.আই.আরিফ
কেউ বলে জিয়া পরিবারের সৈনিক। কেউ বলে আরাফাত রহমান কোকোর ড্রাইভার। কেউ বলে তিনি দলের পেছনে অনেক টাকা ব্যয় করছে। গেলবার সিঁথির কোঠায় দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এবারও সুযোগের সন্ধানে । গতকাল এমনিভাবে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন আড়াইহাজার বিএনপির একাংশের নেতারা। তারা সবাই বিএনপির সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুরের অনুগত হিসেবে পরিচিত। তারা বলেন, আজাদের এতো টাকার উৎস কোথায়? প্রশাসন একটু খোঁজ করলেই সব বেরিয়ে আসবে। এদিকে আঙ্গুর সমর্থকদের এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন আজাদ সমর্থকরা। এসব ব্যাপারে গতকাল বান্টিবাজার এলাকায় নজরুল ইসলাম আজাদের একাধিক সমর্থকের সাথে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তারা বলেন, আজাদ জিয়া পরিবারের বিশ^স্ত সৈনিক। রাজপথে আছেন। আঙ্গুর সংস্কারপন্থী। তাকে দল নমিনেশন দেবে না।
যদিও বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না তারপরও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আড়াইহাজারে খেলা শুরু হয়েছে। দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নানা আলোচনা, বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। বিরোধী দলের আপাতত নজরুল ইসলাম আজাদ ও সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুরকে আলাদা ভাবে মাঠে দেখা যাচ্ছে। নেতাকর্মীদের খোঁজ নিচ্ছে।
সম্প্রতি আড়াইহাজার থানা, পৌর বিএনপির কমিটি হয়েছে। সেই কমিটিতে আঙ্গুর ও তার কর্মীদের রাখা হয়নি। এছাড়া তার ভাতিজা মাহমুদুর রহমান সুমন থানা বিএনপির আহবায়ক পদ থেকে বাদ পড়েছেন। তাতে আড়াইহাজারের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ শুরু হয়েছে। আজাদের সাথে দূরত্ব বাড়ছে। গেল নির্বাচনেও আজাদের পক্ষে মাঠে নামেনি আঙ্গুর। নেতাদের মতে আড়াইহাজারের এমপি হতে ভৌগোলিক দিকটা গুরুপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আঙ্গুর জানান , আমার কোনো গ্রুপ নেই । আমি সবাইকে নিয়েই আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। দল এবার আর ভুল করবে না। কাকে মনোনয়ন দিলে আড়াইহাজারে ধানের শীর্ষ জয়ী হবে সেটাও দল বুঝে গেছে। রাজনীতিতে তারাহুরা করে বড় হওয়া যায় না। সিরিয়াল অনুযায়ী নেতৃত্ব সৃষ্টি হয়।
নজরুল ইসলাম আজাদ চাষাঢ়ায় অনুষ্ঠানে বলেন, খুব তাড়াতাড়ি আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটবে। ফয়সালা হবে রাজপথে। সুত্রের খবর শাসক দলের সাথে তাদের আতাঁত থামছে না।